শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে খান ৬ খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক:: কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মন ভালো থাকে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করে আর কর্মোদ্দীপনা পাওয়া যায়। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে খাবার খাওয়া চাই জেনে বুঝে। স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত বা কম ক্যালরি গ্রহণ করলে উভয়টি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

তাই খাবার পরিমিতভাবে খেতে হবে, যাতে তা থেকে আমাদের শরীর তার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি পেতে পারে। আর নিয়মানুযায়ী পুরুষদের দিনে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ক্যালরি এবং নারীদের প্রায় ২ হাজার ক্যালরি খাবার খেতে হবে।

১. কার্বোহাইড্রেট

আপনার নিয়মিত খাবারে স্টার্চি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন- আলু, রুটি, চাল, পাস্তা এবং সিরিয়াল ইত্যাদি এক-তৃতীয়াংশের বেশি হওয়া উচিত। কারণ এ খাবারগুলোতে অনেক পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং দীর্ঘসময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রতিটি প্রধান খাবারের সঙ্গে অন্তত একটি স্টার্চি খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

অনেকে মনে করেন যে স্টার্চযুক্ত খাবারগুলো মোটাতাজা করে। কিন্তু গ্রাম হিসাবে এসব খাবারের কার্বোহাইড্রেট তাদের অর্ধেকেরও কম চর্বি সরবরাহ করে শরীরে।

২. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান

বিশেষজ্ঞরা এটা সুপারিশ করেন যে, প্রতিদিনের খাবারের কমপক্ষে ৫ ভাগ অংশ বিভিন্ন ফল এবং সবজি খাওয়া উচিত। আর তা হতে পারে তাজা, হিমায়িত, টিনজাত, শুকনো বা রসযুক্ত যে কোনো ধরনের।

৩. প্রোটিনের জন্য পর্যাপ্ত তৈলাক্ত মাছ খান

বিভিন্ন তৈলাক্ত মাছ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাট হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুবার তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪. চিনি ও লবণ কম পরিমাণে খান

চিনিতে শর্করা থাকে এবং বেশি পরিমাণে লবণ আমাদের শরীরের প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। চিনি আপনার আপনার স্থূলতা এবং দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। আর লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়ে হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এগুলো খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন।

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন

পানিশূন্যতা দূর করে স্বাস্থ্যকর থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্রাস পানি পান করতে হবে। আর পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এটি ওজন কমাতে, খাবারের সময় ক্ষুধা এবং ক্যালরির পরিমাণ কম করতেও সাহায্য করে।

৬. সকালের নাস্তা না এড়ানো

ওজন কমানোর আশায় কিছু মানুষ সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান বা অনেক দেরি করে করেন। কিন্তু এটি ওজন না কমিয়ে বরং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে কাজ করে। আর সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার জন্য উচ্চ ফাইবার ও কম চর্বি, চিনি এবং লবণযুক্ত একটি সুষম খাদ্যের অংশ হতে পারে। এটি আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সাহায্য করতে পারে।

তথ্যসূত্র: এনএইচএস ডট ইউকে

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com